শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ন

আপডেট
বেতাগীতে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন

বেতাগীতে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন

বেতাগীতে ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন

খাইরুল ইসলাম মুন্না, বেতাগী :  ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। এ খবরে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় দেশের উপক’লীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলার কৃষক। মাঠে থাকা খেতের ফসল ঘরে তুলতে এখন ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। এমন পরিস্থিতিতে পাকা বোরো ধান, রবিশস্যসহ সংগ্রহ উপযোগী ফসল দ্রুত কাটার এবং আউশের চাষ ও আউশের বীজ তলা রক্ষায় পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।প্রচারনাকালে পাকা বোরো ধান, কাচা মরিচ, বাদাম, মুগডাল, মিষ্টি আলু, সবজি, পরিপক্ব আম ও অন্যান্য সংগ্রহ উপযোগী ফসল এবং আউশের চাষ ও আউশের বীজ তলা মাঠে বিদ্যমান রয়েছে তা দ্রুত সংগ্রহের কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

সরজমিনে দিনরাত পরিশ্রম করে কৃষকদের দ্রুত রবিশস্য ঘরে তুলতে দেখা গেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা থাকায় ৮০ ভাগ বোরো ধান পেকে গেলে সবাইকে দ্রুত ধান কেটে ফেলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটির সময়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর লক্ষে এখানকার প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতামূলক তথ্য ও সরকারি নির্দেশনা মূলক ব্যাপক প্রচারনা চালানো হচ্ছে। আবহাওয়াসংক্রান্ত যে কোনো তথ্য ও পরামর্শের জন্য সরকারি নিদের্শনা অনুসরণ করতে মাইকিং করে বলা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আগমনি বার্তা নিয়ে কথা হয় উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাষি মো. নফিছুর রহমানের নাথে। তিনি বলেন, ঝড় আসার খবরে আমরা সবাই কৃষি অফিসের নির্দেশনা পাওয়ার পর দ্রুত সংগ্রহ উপযোগী ফসল গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। কাজিরাবাদ কৃষক আব্দুর রহমান জানান, এবারে যে জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন।

ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে শ্রমিক সংকটে বেশি মজুরি দিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে ধান কাটতে না পারলে ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানান তিনি। এ বছর এ উপজেলায় ৫ হাজার ৭৪৭ হেক্টর জমিতে মুগডালের চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশি মুগ তোলা হয়েছে। বাকিটুকু দুই-এক দিনের মধ্যে তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হয়তো ১৫ থেকে ১০ শতাংশ মুগ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির কবলে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি কর্মকর্তা।ঘূর্ণিঝড় মোকায় ক্ষতির বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: ইছা জানান, এ উপজেলায় ৩৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ৮০ শতাংশের বেশি ধান ইতোমধ্যে কাটা হয়েছে। আশা করছি, খুব দ্রæতই বাকি ধান কাটা সম্ভব হবে। ঘূর্ণিঝড়ে বোরোতে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই। ঘূর্ণিঝড়ের সবধরনের সতর্কতামূলক পরামর্শের জন্য আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে রয়েছি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |